রহিদুল ইসলাম রাইপ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে সম্প্রতি শূন্য হয়েছে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসন।
নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এই আসনের উপ-নির্বাচনের কোন প্রস্তুতি গ্রহণ না করলেও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ দলের প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ও সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগসহ নানা কর্মসূচি।
এই আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে একজন রাণীনগরের সন্তান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নওশের আলী।
তিনি বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের জন্য মন-প্রাণ সপে দিয়েছি। তাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেই জীবন শেষ করতে চাই। আমি দলের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু দল ইসরাফিল আলমকে মনোনয়ন দিলে আমি নৌকার হয়ে কাজ করেছি।
প্রয়াত সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম আওয়ামী লীগের সার্বিক সহযোগিতায় ও দিক নির্দেশনায় এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় শান্তির সুবাতাস বয়ে এনেছিলেন। আজ ইসরাফিল আলম নেই। তাই আগামী উপ-নির্বাচনে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনমতের ভিত্তিতে ও আমার সবকিছু যাচাই-বাছাই করে উন্নয়নের প্রতীক নৌকা আমার হাতে তুলে দেন, তাহলে আমি আমার জীবন বাজি রেখে এই দুই উপজেলাতে শান্তির সুবাতাস ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টায় নিয়োজিত থাকবো।
রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করার সময় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, আমি জানি বিশ্বনন্দিত চৌকশ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই আসনের জন্য যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যে প্রার্থী উপযুক্ত তাকেই তিনি নৌকা প্রতীক দেবেন।
আমি কর্মের তাগিদে রাজশাহীতে বসবাস করলেও সুখে-দু:খে এই অঞ্চলের মানুষের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।